ফাইভার (Fiverr) এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার সহজ পথ
ফাইভার (Fiverr) এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার সহজ পথ
![]() |
ফাইভার (Fiverr) এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার সহজ পথ |
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি কীভাবে কাজ করে?
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি শুরু করার ধাপসমূহ
১. অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
Fiverr এ একটি প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা প্রথম ধাপ। নাম, ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সহজেই আপনি এটি করতে পারবেন। তবে আপনার প্রোফাইল যেন পেশাদার হয়, সেটি খেয়াল রাখুন।
২. প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করুন
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার জন্য একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল খুব জরুরি। প্রোফাইলে নিজের দক্ষতা, ভাষা জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সুন্দরভাবে লিখুন। প্রোফাইল ছবি অবশ্যই পরিষ্কার ও প্রফেশনাল হওয়া উচিত।
৩. গিগ তৈরি করুন
গিগ মানে আপনি যে সার্ভিসটি দিচ্ছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা। গিগের টাইটেল, ক্যাটাগরি, সার্ভিস প্যাকেজ, গিগ ইমেজ, ডিসক্রিপশন ও ট্যাগ সঠিকভাবে লিখুন। এটি ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।
৪. রিসার্চ করে গিগ সাজান
যেই কাজ করতে চান, তা Fiverr এ কতজন করছে এবং তারা কীভাবে গিগ সাজিয়েছে তা দেখে আপনি নিজের গিগ গঠন করুন। প্রতিযোগী গিগ বিশ্লেষণ করা খুব দরকার।
৫. নিয়মিত অনলাইন থাকুন
Buyer যদি দেখেন আপনি অনলাইনে নেই, তাহলে অনেক সময় অন্যজনকে কাজ দিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত অনলাইন থাকার মাধ্যমে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ান।
কোন স্কিলগুলো দিয়ে ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি শুরু করা যায়?
গ্রাফিক ডিজাইন (Logo, Flyer, Business Card)
ডিজিটাল মার্কেটিং (SEO, Facebook Ads, Email Marketing)
ভিডিও এডিটিং (YouTube Video Editing, Motion Graphics)
লিখা ও অনুবাদ (Article Writing, Copywriting, Translation)
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ডাটা এন্ট্রি
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
এই স্কিলগুলোর চাহিদা বেশি, তাই নতুনদের জন্য উপযোগী।
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি পাওয়ার কৌশল
আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করুন
টাইটেল এমন হতে হবে যাতে সার্চ করলে আপনার গিগ প্রথমে আসে। যেমন: "I will design modern minimalist logo"।
প্রফেশনাল ডিসক্রিপশন লিখুন
আপনার সার্ভিস কীভাবে ক্লায়েন্টকে উপকার দেবে, তা বিস্তারিতভাবে লিখুন। ব্যাসিক, স্ট্যান্ডার্ড ও প্রিমিয়াম প্যাকেজে পরিষ্কারভাবে কাজ ও মূল্য নির্ধারণ করুন।
কাস্টমার রিভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করুন
প্রথম দিকে আপনি যেকোনো ছোট কাজও মনোযোগ দিয়ে করুন। ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হলে ভালো রিভিউ দেবে। এটি আপনাকে আরও নতুন ক্লায়েন্ট আনতে সাহায্য করবে।
দ্রুত রিপ্লাই দিন
Buyer যদি ইনবক্সে মেসেজ দেয়, সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই দিন। ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি পেতে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখে।
ট্যাগ ও কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ট্যাগে অবশ্যই সেই শব্দগুলো দিন যেগুলো ক্লায়েন্ট সার্চ করে। যেমন, logo design, SEO service, content writing ইত্যাদি।
নতুনদের জন্য ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি টিপস
প্রোফাইল পূর্ণভাবে পূরণ করুন
প্রফেশনাল ভাষায় গিগ লেখুন
বানানে ভুল করবেন না
নিজের স্কিল অনুযায়ী গিগ দিন
ছোট কাজেও যত্নবান হোন
সময়মতো ডেলিভারি দিন
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি ও আয়
ফাইভার এ একজন নতুন সেলার গড়ে প্রতিমাসে $100–$500 পর্যন্ত আয় করতে পারেন। সময়, দক্ষতা ও ক্লায়েন্টের রিভিউ অনুযায়ী এই আয় ধীরে ধীরে $1000–$2000 বা তার বেশি হতে পারে। তবে আয় নির্ভর করে গিগ র্যাঙ্কিং, রেটিং ও ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টির ওপর।
সফলতার গল্প
রাফি একজন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার, যিনি ২০২৩ সালে Fiverr এ কাজ শুরু করেন। মাত্র তিন মাসে ২৫টি অর্ডার সম্পন্ন করে তিনি Level One সেলার হন। তিনি গ্রাফিক ডিজাইনকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন।
ফাইভার এ অনলাইনে চাকরি করতে গেলে কী কী দরকার?
একটি প্রফেশনাল Fiverr অ্যাকাউন্ট
নির্দিষ্ট একটি স্কিল
ইন্টারনেট কানেকশন
কম্পিউটার বা মোবাইল
সময় ও মনোযোগ
উপসংহার
প্রশ্নোত্তর (FAQs)
১. ফাইভার এ কাজ করতে কত টাকা লাগে? ফাইভার একদম ফ্রি প্ল্যাটফর্ম। কাজ শুরু করতে কোনো টাকা লাগে না।
২. নতুনদের জন্য কোন স্কিল ভালো? ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, ও লোগো ডিজাইন নতুনদের জন্য ভালো স্কিল।
৩. অর্ডার পেতে কতদিন লাগে? গিগ ও প্রোফাইল ভালোভাবে সাজালে প্রথম অর্ডার পেতে ৭–৩০ দিন সময় লাগতে পারে।
৪. ফাইভার থেকে টাকা কিভাবে পাওয়া যায়? Payoneer বা Bank Transfer এর মাধ্যমে টাকা তুলা যায়।
৫. মোবাইল দিয়ে কি ফাইভার এ কাজ করা যায়? হ্যাঁ, Fiverr মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও অনেক কাজ করা সম্ভব। তবে কম্পিউটার হলে সুবিধা বেশি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url