ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়
![]() |
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয় |
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়?
বর্তমানে ইলেকট্রনিক পণ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি, কিংবা মাইক্রোওয়েভ—সবই এখন প্রয়োজনীয়। কিন্তু এসব পণ্য কিনতে গেলে অনেকেই একটি প্রশ্ন করেন—ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়?
গ্যারান্টি কী এবং এটি কেন দরকার?
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়: সাধারণ সময়সীমা
১. মোবাইল ফোন: সাধারণত ১ বছর গ্যারান্টি পাওয়া যায়। কিছু ব্র্যান্ড ব্যাটারি ও চার্জারের জন্য ৬ মাস আলাদা গ্যারান্টি দেয়।
২. ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ: অনেক ব্র্যান্ড ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।
৩. টেলিভিশন ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স: সাধারণত ১-২ বছরের গ্যারান্টি থাকে। বড় ব্র্যান্ডগুলো ৫ বছরের ওয়ারেন্টিও অফার করে।
৪. কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স: যেমন রাইস কুকার, ওভেন, ব্লেন্ডার—এসব পণ্যের গ্যারান্টি ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে থাকে।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি এক নয়
অনেকেই মনে করেন গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি একই জিনিস। কিন্তু আসলে তা নয়। ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়, তা বোঝার আগে এই দুটি বিষয়ের পার্থক্য জানা দরকার।
গ্যারান্টি সাধারণত কোম্পানি স্বেচ্ছায় প্রদান করে এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়।
ওয়ারেন্টি অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এটি একটি বর্ধিত নিরাপত্তা প্যাকেজ হিসেবে কাজ করে।
গ্যারান্টি কীভাবে কার্যকর হয়?
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয় এবং এটি কীভাবে কার্যকর হয়, তা জানার জন্য নিচের বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি:
-
মূল রশিদ সংরক্ষণ: পণ্য কেনার সময় পাওয়া রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। এটি গ্যারান্টি প্রমাণে ব্যবহার হয়।
-
গ্যারান্টি কার্ড পূরণ ও জমা: অনেক সময় পণ্যের সাথে গ্যারান্টি কার্ড থাকে, যা পূরণ করে নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে হয়।
-
নির্ধারিত সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ: গ্যারান্টি গ্রহণ করতে নির্দিষ্ট অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে পণ্য জমা দিতে হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে গ্যারান্টি প্রযোজ্য নয়?
সব ক্ষেত্রে কিন্তু গ্যারান্টি প্রযোজ্য হয় না। ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়, তা জানার সময় নিচের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:
-
দুর্ঘটনাবশত ক্ষতিগ্রস্ত হলে (যেমন পড়ে যাওয়া বা পানিতে ভিজে যাওয়া)
-
ইচ্ছাকৃত বা ভুল ব্যবহার
-
অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারের বাইরে মেরামত করা হলে
-
সফটওয়্যার সমস্যা (মোবাইল বা ল্যাপটপে)
কেন ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি জানা জরুরি?
ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয়, তা জানার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো:
-
আপনি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
-
গ্যারান্টি থাকলে পরবর্তীতে খরচ কমে যায়।
-
আপনি কোন ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা রাখবেন, তা সহজে বুঝতে পারেন।
-
পণ্য নিয়ে যদি কোনো আইনি সমস্যা হয়, গ্যারান্টি একটি সুরক্ষা দেয়।
গ্যারান্টি চেক করার উপায়
অনেকেই জানতে চান, ইলেকট্রনিক পণ্যের গ্যারান্টি কেমন হয় এবং সেটি চেক করবেন কীভাবে?
-
রশিদে উল্লিখিত তারিখ: গ্যারান্টির শুরু তারিখ হিসেবে কেনার তারিখ ধরা হয়।
-
ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে সিরিয়াল নম্বর দিয়ে চেক করুন।
-
গ্যারান্টি কার্ডে স্পষ্টভাবে সময়সীমা লেখা থাকে।
উপসংহার
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs)
প্রশ্ন ১: গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি কি এক জিনিস?
উত্তর: না। গ্যারান্টি ফ্রি, আর ওয়ারেন্টি অনেক সময় টাকা দিয়ে বাড়ানো যায়।
প্রশ্ন ২: যদি রশিদ হারিয়ে যায়, তাহলে গ্যারান্টি প্রযোজ্য হবে?
উত্তর: না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রশিদ না থাকলে গ্যারান্টি সুবিধা পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন ৩: গ্যারান্টি পেতে কত দিনের মধ্যে যোগাযোগ করতে হবে?
উত্তর: গ্যারান্টি সময়সীমার মধ্যেই, যত দ্রুত সম্ভব সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করা উচিত।
প্রশ্ন ৪: মোবাইল ফোনের গ্যারান্টি কী কী কভার করে?
উত্তর: হার্ডওয়্যার সমস্যা, চার্জার ও ব্যাটারির সীমিত গ্যারান্টি কভার করে। তবে স্ক্রিন ভাঙা বা পানিতে নষ্ট হলে গ্যারান্টি প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্ন ৫: গ্যারান্টি ছাড়া পণ্য কেনা কি নিরাপদ?
উত্তর: না। গ্যারান্টি ছাড়া পণ্য কেনা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে খরচ বাড়িয়ে দি
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url